কভিডময় বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম

লন্ডন প্রতিনিধি: বৃটেনের সংবাদ মাধ্যমগুলোর শিরোনামে এখন শুধুই কভিড আর কভিড। করোনাভাইরাসের প্রকপ মারাত্বক আকার ধারন করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যাচ্ছে। বৃটেনের ১০ জানুয়ারী রবিবারের পত্রিকাগুলোর পাতায় চোখ বোলালে পরিস্থিতির কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতির আকার অনুধাবন করা সত্যিই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন হু হু করে বেড়েই চলেছে। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত আগের দিনের  রেকর্ডকে অতিক্রম করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে। সরকারের নানান পদক্ষেপের পরও নিয়ন্ত্রন নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এমতবস্থায় আইন সম্পূর্ণরুপে মানতে পুলিশকে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে দিতে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, ফলে হাসপাতালগুলোতে এখন মারাত্বক কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। সেইসাথে হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় সেখানে জায়গা সংকট দেখা দিচ্ছে।

আজকের বৃটিশ সংবাদপত্র “দ‍্যা অবজারভার“ পত্রিকা লীড স্টোরি করেছে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালগুলোতে মারাত্মক কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। বৃটিশ মেডিক‍্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর দেয়া তথ‍্য অনুযায়ি ৪৬ হাজারেরও বেশি কর্মচারী বর্তমানে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে।

আর “সানডে টেলিগ্রাফ“ এর প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমবার অনুরোধ করার পর কেউ ঘরে ফিরে যেতে আপত্তি জানালে তাকে ২০০ পাউন্ড জরিমানা করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

“সানডে টাইমস“ এর শীর্ষ সংবাদে বলা হয়েছে, স্মরণকালের মধ‍্যে সবচেয়ে সংকটের মুখোমুখি হাসপাতালগুলো। বৃটেনের চীফ মেডিক‍্যাল অফিসার সানডে টাইমসে লেখা তার আর্টিক‍্যালে বলেছেন, যদি লোকজন বিধিনিষেধ না মানেন, তাহলে গুরুতর রোগীদের হাসপাতালের দরোজা থেকে ফিরিয়ে দেয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।

“দ‍্যা মেইল অন সানডে“ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, রাজ পরিবার হওয়ায় বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ যাতে কখনো কেউ না করে, সেজন‍্য রাণী ও ডিউক অব এডিনবরা বার্কশায়ারে সর্বসাধারণের জন‍্য ভ‍্যাকসিন দেয়া শুরু হবার পর তারা ভ‍্যাকসিন নেন।

“সানডে মিরর“ শিরোনামে রানী ও তাঁর স্বামি ফিলিপের টিকা গ্রহণ এবং লকডাউনকে আরো কঠোর করার জন‍্য বিজ্ঞানীদের দাবীকে তুলে ধরা হয়েছে।

“সানডে একসপ্রেস“ তাদের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে ৯৪ বছর বয়সী রানী ও ৯৯ বছর বয়সী রাজার (ডিউক অব এডিনবরা) টিকা নেয়ার খবর প্রকাশ করেছে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published.