রিঅ্যাকশনবিডি (ঢাকা): বাংলাদেশে আজ থেকে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনে আনুষ্ঠানিকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হয়েছে।
ফলে গ্রাহকদের এখন থেকে নতুন সিম কেনার সময় আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে। যা ওই গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন সিম নিবন্ধন করা হবে।
তবে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারী থেকে গ্রাহকদের মোবাইল সেটও নিবন্ধন করতে হবে। কি প্রক্রিয়ায় মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধন করা হবে, তা পরিষ্কার করেননি বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
ফেব্রুয়ারী মাস থেকে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দেবে বলে জানানো হয়েছে।
সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
নকল আর চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশের বিভিন্ন নামী ব্রান্ডের মোবাইল ফোন বিক্রেতারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি বা আইএমইআই নাম্বারের মাধ্যমে ওই সেটের ব্যবহার করা সিমের নাম্বার ও গ্রাহকের তথ্য পাওয়া যায়।
কিন্তু বাংলাদেশের একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তদন্তে, কোনো কোনো আইএমইআইয়ের বিপরীতে অন্তত বারো হাজার মোবাইল সেটের অস্তিত্ব পেয়েছে।
এই সমস্যার সমাধানে নানা চেষ্টা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মোবাইল সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি নভেম্বর মাস থেকেই পরীক্ষামুলকভাবে চালু হয়েছে, যা আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৩ কোটির বেশি মোবাইল সিম বিক্রি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোবাইল সেট নিবন্ধনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারকে বিপুল প্রস্তুতি নিতে হবে।
বরং চুরি হয়ে যাওয়া বা আইএমইআই নম্বরবিহীন মোবাইল সেট সনাক্ত করে প্রযুক্তি দিয়েই কার্যকর ভুমিকা নেয়া সম্ভব। বিশেষ যন্ত্র স্থাপনের মাধ্যমে মোবাইল অপারেটররাই এ ধরণের মোবাইল ফোন সনাক্ত করে সেগুলো অকার্যকর করার করে দিতে পারে।