ReactionBD

পৌরসভায় নৌকা-ধানের শীষের ভোটযুদ্ধ শুরু

রিঅ্যাকশনবিডি (ঢাকা): পৌরসভা নির্বাচনে আজ সোমবার থেকে চূড়ান্ত লড়াইয়ে নামছেন প্রার্থীরা। প্রায় সাত বছর পর শুরু হচ্ছে নৌকা-ধানের শীষের ভোটযুদ্ধ। গতকাল রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিভিন্ন পৌরসভায় কিছু প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও অনড় অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এসব প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরাতে দুই দলের পক্ষ থেকে নানামুখী চেষ্টা করা হলেও অনেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দিয়ে মাঠে রয়েছেন। এদিকে গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেসব নেতাকর্মী স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পরবর্তী বৈঠকে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে আজ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতীক পেয়েই জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর এই প্রথম পৌর শহরগুলোতে নৌকা এবং ধানের শীষ প্রতীকে লড়াই হচ্ছে। এ নির্বাচনকে ঘিরেই তাই বাড়তি আমেজ বিরাজ করছে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। এবার প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে এক হাজার ২১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০টি দলের ৭১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের সাত, বিএনপির নয় ও জাতীয় পার্টির ছয়জনসহ ১১টি দলের ৩৯ জনসহ মোট ১৫৭ জনের  মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনের দেয়া তালিকা অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত বৈধ প্রার্থী ছিলেন এক হাজার ৫৬ জন। যার মধ্যে দলীয় প্রার্থী ৬৭১ জন। দলীয় প্রার্থীদের আওয়ামী লীগের ২৩১ জন, বিএনপির ২২৪ জন ও জাতীয় পার্টির ৮৫ জন রয়েছেন। গত ১৯শে নভেম্বর মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের বিধান রেখে পৌরসভা (সংশোধন) আইন ২০১৫ বিল পাস হয়। পরে প্রেসিডেন্টের সম্মতিতে আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। সরকারের এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর পাল্টে যায় পৌরসভা নির্বাচনের দৃশ্যপট। ইসিতে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকলেও মূলত লড়াই হবে চিরচেনা নৌকা-ধানের শীষ প্রতীকে। এবার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীদের জন্য নিজ নিজ দলের প্রতীক, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদের জন্য ১২টি, সাধারণ কাউন্সিলরদের জন্য ১২টি ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের জন্য ১০টি প্রতীক বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বরাদ্দকৃত ৩৪টি প্রতীক হলো স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদের জন্য ইস্ত্রি, কম্পিউটার, ক্যারম বোর্ড, চামচ, জগ, টাই, নারিকেল গাছ, বড়শি, মোবাইল ফোন, রেল ইঞ্জিন, হ্যাঙ্গার ও হেলমেট। সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ১২টি প্রতীক হলো-উটপাখি, গাজর, টিউব লাইট, টেবিল ল্যাম্প, ডালিম, ঢেঁড়স, পাঞ্জাবি, পানির বোতল, ফাইল কেবিনেট, ব্রিজ, ব্ল্যাকবোর্ড ও স্ক্রু ড্রাইভার। সংরক্ষিত আসনের সাধারণ কাউন্সিলরদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রতীক হলো আঙুর, কাঁচি, গ্যাসের চুলা, চকোলেট, চুড়ি, পুতুল, ফ্রক, ভ্যানিটি ব্যাগ, মৌমাছি ও হারমোনিয়াম।
রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রত্যাহার: আওয়ামী লীগের এক প্রার্থীকে অবৈধ সুবিধা দেয়ায় সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে প্রত্যাহার করে তার স্থলে মাগুরার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে অনিয়মের কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পৌর নির্বাচনে এই প্রথম কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলো কমিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, আইন মেনে দায়িত্ব পালন না করায় কলারোয়া পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার স্থলে মাগুরার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, অনেক জায়গায় রিটার্নিং অফিসাররা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না বলে অভিযোগ পায় ইসি। এ নিয়ে কমিশনের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এছাড়া কলারোয়া পৌরসভার দায়িত্ব পালন করা রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেন দুইজন নির্বাচন কমিশনার। গত ১০ ডিসেম্বর তাদের সুপারিশ পর্যালোচনা করে কমিশন ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় রোববার। ইতিমধ্যে জনপ্রশাসনের মাধ্যমে প্রত্যাহারের আদেশ কার্যকর হয়েছে। ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার আবুল হোসেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টু উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদ থেকে যথাযথভাবে পদত্যাগ না করলেও তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন।
অনড় আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা
অনড় আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা। আসন্ন পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অর্ধশতাধিক পৌরসভায় সক্রিয় রয়েছেন দুদলের মনোনয়নবঞ্চিতরা। অন্তত ২০টি করে পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে দুদলকেই। সংখ্যার দিক থেকে অন্তত ৩০ জন করে বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয় রয়েছেন এসব পৌরসভায়। দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারসহ নানা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু প্রার্থীকে বহিষ্কারও করেছে দলটি। নানামুখী চাপ প্রয়োগ করে কিছু প্রার্থীকে প্রত্যাহারে রাজি করানো গেলেও অনড় রয়েছেন বাকিরা। অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে আলোচনা-সমঝোতার পথে হেঁটেছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী বিদ্রোহীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদেরও নিষ্ক্রিয় করতে নানা চেষ্টা চালানো হচ্ছে দলটির তরফে। তবে এখনও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা ৩০ জনের মতো। বিএনপির পৌর নির্বাচন মনিটরিং সেল সূত্র জানিয়েছে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সংখ্যা আশানুরূপ। বাকিদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।
বিদ্রোহীদের বাগে আনতে পারেনি আওয়ামী লীগ, বহিষ্কারের ঘোষণা
প্রথমে ১৩ই ডিসেম্বর। পরে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম। এরপরে আজীবন বহিষ্কারের হুমকি। কিন্তু কাজ হয়নি কিছুতেই। শত চেষ্টা করেও আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বাগে আনতে পারেনি সরকারি দল আওয়ামী লীগ। সারা দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্তত ২০ জনের বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। স্বতন্ত্র হিসেবে যে কোনো মূল্যে ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেনই তারা। তবে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও দায়িত্বশীল নেতারা দাবি করছেন, শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী ১০ থেকে ১২ জনের বেশি হবে না। আর এদের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা চলবে। যাতে দলের স্বার্থে তারা নিজেদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেয়। গতকাল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র নির্বাচনে থাকাদের দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা নির্বাচনের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। তবে, নতুন বিধি অনুযায়ী এবার যেহেতু দলীয়ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি ছিল তাদের। পাশাপাশি বিদ্রোহীরা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগও অবলম্বন করে নানা কৌশল। দলের শীর্ষ নেতাদের হিসেবে সারা দেশের ২৩৫টি পৌরসভায় অন্তত ৭০ জনের বেশি বিদ্রোহী ছিলেন। তাদেরকে ১৩ই ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য আলটিমেটাম বেঁধে দেন শীর্ষ নেতারা। অবশ্য মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ২০ জনের মতো প্রার্থী নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েন। নির্বাচনী মাঠে থাকা আরও প্রায় অর্ধশত প্রার্থীদের বিষয়ে প্রথমে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি ধমকি এবং একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঠাণ্ডা মাথায় বিদ্রোহীদের বাগে আনার কৌশল অবলম্বন করেন এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা। দলের শীর্ষ নেতারাসহ সাত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও তৃণমূলের নেতারা এ বিষয়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে বোঝাপড়া করেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি বুঝিয়ে সুঝিয়ে অর্ধশত বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে অর্ধেকের মতো প্রার্থীকে তারা নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে এর কোন সত্যতা মিলেনি। বরং বিদ্রোহীদের কেউ কেউ দল থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনী রেসে থাকার ঘোষনা দিয়েছেন। গত বুধবার গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বিদ্রোহীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার আলটিমেটাম দেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। একই সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিও বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে পৌঁছানো হয়। যদিও অনেক প্রার্থীই জানিয়েছেন তারা এ বিষয়ে কোন চিঠি পাননি। শুক্রবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বিদ্রোহীদের বিষয়ে আবারও হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ধানমন্ডস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, অর্ধশত বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে অর্ধেক বিদ্রোহী প্রার্থী দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অন্যরাও ১৩ই ডিসেম্বরের আগেই প্রত্যাহার করে নেবেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বলেন, জেলায় জেলায় যোগাযোগ করছি। সঠিক সংখ্যাটা না পেলেও আজ (রোববার) ১০ জনের মতো বিদ্রোহী প্রার্থী নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আরও হয়তো ১০ থেকে ১২ জন বিদ্রোহী শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকতে পারেন। এদের সঙ্গে আমরা বসে আলোচনা করবো। আশা করি দলের স্বার্থে তারাও অনানুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবেন। আর যদি তা না করেন তবে, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে সারা দেশে বেশকিছু পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে কোনো মূল্যেই হোক তারা নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। যত বাধা বিপত্তিই আসুক না কেন তারা সরে যাবেন না। তারা আরও বলছেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে তারাই জয়লাভ করবেন। কিশোরগঞ্জের তিনটি পৌরসভায় ৪ জন বিদ্রোহী গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে নিজেদের প্রত্যাহার করেননি। জেলার করিমগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল ইসলাম চৌধুরী মামুনের বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও বর্তমান মেয়র হাজী আবদুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, স্থানীয় মানুষের দাবিই আমার কাছে আগে। কেননা তাদের নিয়েই রাজনীতি করি। দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে জেলা নির্বাচনী বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারা আমার ওপর যে অবিচার করেছেন, তার জবাব স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ভোটের মাধ্যমেই দিবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বলেও হাজী কাইয়ুম মন্তব্য করেন। জেলার বাজিতপুর পৌরসভায় সরকার দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা শওকত আকবর। হোসেনপুর পৌরসভায় আবদুর কাদির স্বপন ও সৈয়দ হোসেন হাছু নামের আওয়ামী লীগের দুজন বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন। নড়াইলের কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরার বিপরীতে গতকাল পর্যন্ত প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান মেয়র এমদাদুল হক টুলু। তিনি মানবজমিনকে বলেন, দল কি করবে না করবে সেটা নিয়ে আমি ভাবছি না। কেননা আমি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছি। আমি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভোট চাইছি। তারা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে ভোট দেবে আর যদি তা মনে না করে তাহলে জনগণ যা রায় দেবে আমি মেনে নেবো। তবে, আমি চাই নির্বাচন যেন সুষ্ঠু অবাধ হয়। এ জন্য গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে।
এদিকে রাঙ্গামাটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী শেষ দিনেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। এরা হলেন, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক অমর কুমার দে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভায় সরকার দলীয় প্রার্থী হালিমুল হক মীরু হলেও গতকাল শেষ দিনেও বিদ্রোহী প্রার্থী ভিপি আবদুর রহিম নিজেকে প্রত্যাহার করে নেননি। ইতিমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে যশোরের ৪টি পৌরসভায় ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনেও নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেননি। বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবেই তারা নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে। যশোর সদরে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম চাকলাদার। তার বিপরীতে বিদ্রোহী হিসেবে রয়ে গেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম কামরুজ্জামান চুন্নু। জেলার চৌগাছা পৌরসভায় সরকার দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে বিদ্রোহী হিসেবে রয়ে গেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সাইফুর রহমান। এদিকে যশোরের বাঘারপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান বিশ্বাস। অভয়নগরে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে একই দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক কমিশনার ফারুখ হোসেন। এদিকে কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শফি আলম ইউনুছ। তিনি বলেন, নির্বাচনে আমাকে স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বাছাই করলেও কেন্দ্র ঘোষিত তালিকায় বাদ পড়ি। তবে, আমি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো বিদ্রোহ করিনি। আমার পেশা ব্যবসা, রাজনীতি নয়। দল না চাইলে আর থাকবো না।
সমঝোতার পথে বিদ্রোহীদের নিষ্ক্রিয় করতে চায় বিএনপি
নির্বাচন কমিশনের নতুন বিধির কারণে প্রায় অর্ধশতাধিক পৌরসভায় বিকল্প প্রার্থী রেখেছিল বিএনপি। বিএনপির পৌর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানিয়েছিলেন দল মনোনীত মূল প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে বিকল্প প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। যদি মূল প্রার্থীর মনোনয়নপত্র চূড়ান্তভাবে বৈধ না হয় তবে বিকল্প প্রার্থীই নির্বাচন করবেন। দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে তৃণমূলে এমন একটি বার্তাও দেয়া হয়েছিল। যাতে প্রয়োজনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে থাকা দল নির্ধারিত বিকল্পপ্রার্থীর পক্ষে সবাই নির্বাচন করেন। অন্যদিকে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বিভিন্ন পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে তাদের একটি অংশের মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী। সমঝোতার পথেই তাদের নিষ্ক্রিয় করতে চায় দলটি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও পৌর নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যয়নকারী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, অন্তত ২০টি পৌরসভায় আমাদের দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সংখ্যা আশানুরূপ। যারা প্রত্যাহার করেছেন তারা এখন থেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন। যারা এখনও প্রত্যাহার করেননি তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তারাও নির্বাচনের মাঠে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বেন বা দল মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন। তিনি বলেন, কিছু পৌরসভায় শেষ পর্যন্ত আমাদের বিকল্পপ্রার্থী থাকবে। তবে বিকল্পপ্রার্থীরা কেন শেষ পর্যন্ত থাকবে এ ব্যাপারে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, নির্বাচনের কিছু কৌশল রয়েছে।
এদিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন গতকাল বিএনপির যেসব বিদ্রোহী প্রার্থী প্রত্যাহার করেছেন তারা হলেন- টাঙ্গাইল সদরে জাফর আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জয়নাল আবেদিন আবদু, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নজরুল ইসলাম লিটন, কিশোরগঞ্জ সদরে ইসরাফিল আলম, হবিগঞ্জে ইসলাম তরফদার তনু ও আমিনুর রশিদ এমরান। এ ছাড়া রাজশাহীর মুডুমালায় মোজাম্মেল হক, গোদাগাড়িতে গোলাম কিবরিয়া রুলু, কুষ্টিয়ায় বশিরুল আলম চাঁদ, ভেড়ামারায় শামীম রেজা, রাজশাহীর চারঘাটে জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম, বানারীপাড়ায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী প্রত্যাহার শাহ আলম, নাটোরের গোপালপুরে নজরুল ইসলাম মোলাম, সিংড়ায় দাউদার মাহমুদ, নোয়াখালীর চাটখিলে মোস্তফা কামাল, বসুরহাটে মাহমুদুর রহমান রিপন, ঝিনাইদহে রিজিয়া সুলতানা, যশোরের নওয়াপাড়ায় এসএম মশিয়ার, দিনাজপুরের হাকিমপুরে জামায়াত সমর্থিত সুমন খন্দকার, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মঞ্জুরি মোর্শেদা ও জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদ, ঠাকুরগাঁওয়ে গোলাম সারোয়ার রঞ্জু, জামায়াতের আবদুল হাকিম জিহাদী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। রাজশাহী বিভাগেই সবচেয়ে বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে বিএনপিতে। তার মধ্যে রাজশাহী জেলার ৫ পৌরসভা তানোরে ফিরোজ সরকার, আড়ানীতে নজরুল ইসলাম, কাঁটাখালীতে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, চারঘাটে কায়েমউদ্দিন, নওহাটায় রফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। এ ছাড়া নাটোরের গুরুদাসপুর ও সিংড়ায় দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ ও মুক্তাগাছায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও ভালুকা পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী মফিজউদ্দিন সরকার প্রত্যাহার করেননি। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ইমাম হোসেন প্রত্যাহার করলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন মঞ্জিল হোসেন। সেখানে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন হারুনুর রশিদ। নাটোরের জিল্লুর রহমান খান, সিংড়ায় দাউদার মাহমুদ ও জামায়াতের জয়নাল আবেদীন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অন্যদিকে চাঁদপুরের কচুয়া, কুমিল্লার হোমনা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা অনড় রয়েছেন। এদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াত পৌর নির্বাচনে অর্ধশতাধিক পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে। বিএনপির তরফে তাদের প্রার্থীদের তালিকা চাওয়া হলেও সেটা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থী সমর্থন ইস্যুতে দুদলের মধ্যে কোনো বৈঠকও হয়নি। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনাও হয়েছে। সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয়ভাবে জামায়াতের অনাগ্রহের কারণে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির সমঝোতার চেষ্টা করেছে বিএনপি। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের পাশাপাশি জোটের অন্যতম শরিক দলের প্রার্থীদেরও মোকাবিলা করতে হবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের। তবে ২০ দলীয় জোটের অন্য শরিক দলগুলো এ ব্যাপারে আলোচনা সাপেক্ষে সমঝোতা করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এলডিপি প্রার্থীদের দুটি ও জাতীয় পার্টি (জাফর) প্রার্থীকে একটি পৌরসভায় আনুষ্ঠানিক সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে বেশ কিছু জেলায় বিএনপির কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন তারা ইতিমধ্যে সরে দাঁড়িয়েছেন। যশোরের ৬টি ও বরিশালের ৭টি পৌরসভায় কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত বেশ কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা প্রত্যেকেই উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। যার মধ্যে গতকাল দুটি পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ। মনোনয়ন বৈধ হওয়া দুই প্রার্থী হলেন চাঁদপুরের ছেংগারচর পৌরসভায় সারোয়ার ও সিলেটের গোলাপগঞ্জের কিবরিয়া চৌধুরী। এদিকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোশারফ হোসেন লেমন তালুকদার তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু জানান, তারা এর কিছুই জানেন ?না। স্বেচ্ছায়, না জোর করে তাদের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে বিষয়টি তাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের সিদ্দিকীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল রাত পৌনে ৮টায় যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বাঘারপাড়া পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ ইতিমধ্যে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে বিকালে জেলা বিএনপির এক সভায় রাঙ্গামাটি পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রবিউল আলম রবিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সব পদসহ তাকে প্রাথমিক সদস্য থেকেও বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দীপন তালুকদার দীপু। তিনি বলেন, তার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পরও তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রকে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে পৌর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও প্রচারণায় ৮টি বিভাগীয় টিমসহ ১১টি টিম গঠন করেছে বিএনপি। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রীয় টিম কৌশল নির্ধারণ, প্রচারণা ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন করবেন। বৃহস্পতিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব টিম অনুমোদন করেছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে শনিবার রাতে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি নেতাদের দায়িত্ব ও নির্দেশনা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিজয় দিবসের পর কেন্দ্রীয় নেতারা সক্রিয়ভাবে নির্বাচনের মাঠে নামবেন। তারা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণায় অংশ নেয়ার পাশাপাশি ছোটখাটো বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা-সমন্বয় করে মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচনে ভূমিকা রাখবেন। বৈঠক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া সিনিয়র নেতাদের স্পষ্ট বলেছেন, তিনি এ নির্বাচনে তাদের পারফরম্যান্স দেখতে চান। বিএনপির পৌর নির্বাচন মনিটরিং সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নেতা জানান, প্রতিটি টিমের সদস্যদের দায়িত্ব ও নির্দেশনাসহ চিঠি দেয়া হচ্ছে।